অধ্যক্ষের বাণী
‘অম্বিকাগঞ্জ কলেজ’ ময়মনসিংহ সদর উপজেলার পরানগঞ্জ ইউনিয়নের অম্বিকাগঞ্জ বাজারে অবস্থিত। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের অদূরে এটি ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল চেয়ারম্যানের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ৪ একর ২২শতাংশ জমির উপর মনোরম পরিবেশে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠেছে।এই প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে সুবিশাল খেলার মাঠ। কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে সুনামের সাথে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত ফলাফল করে আসছে। বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে,প্রতিষ্ঠানটি’অম্বিকাগঞ্জ কলেজ’ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বের সাথে সংযুক্ত হয়েছে।ওয়েবসাইটটি অম্বিকাগঞ্জ কলেজের জন্য নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।কলেজ ওয়েবসাইটটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় অংশগ্রহণ করছে। এটি গুনগত শিক্ষা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।বিশ্বায়নের এই যুগে গুণগত শিক্ষার প্রসারে প্রযুক্তিগত সংস্কার অপরিহার্য। ওয়েবসাইটটি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরণের পরিষেবা প্রদান করে যাচ্ছে। এখন যে কেউ কলেজের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, ভর্তির ফর্ম, বিজ্ঞপ্তি, ফলাফল, বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করতে এমনকি শিক্ষকের প্রোফাইল এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিষয় সম্পর্কিত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য জানতে একটি ক্লিক করে মুহূর্তের মধ্যে যেকোনো তথ্য পেতে পারে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের পাশাপাশি স্মাট বাংলাদেশ গড়তে এখন বদ্ধপরিকর। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ যেখানে মানুষ যন্ত্রে পরিণত না হয়ে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তিগত মাধ্যম যেমন কম্পিউটার, নোটপ্যাড, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদি ব্যবহারে প্রযুক্তিগতভাবে সমৃদ্ধ হবে। একটি ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, দূর্নীতিমুক্ত এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ যেখানে সকল কর্মকর্তা কর্মচারী কার্যকরভাবে এবং কম খরচে আমাদের কোটি কোটি মানুষের সেবা প্রদান করবে। এমন বাংলাদেশ হবে সত্যিকারের ‘সোনার বাংলা’ যার স্বপ্ন আমাদের জাতির পিতা দেখেছিলেন।
আমি আনন্দিত যে ওয়েবসাইটটি অম্বিকাগঞ্জ কলেজের সমস্ত একাডেমিক কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এই কলেজের এই অনন্য প্রযুক্তিটি সংযোজন করায় যারা অবদান রেখেছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।